গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬
দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের এখতিয়ারাধীন এলাকায় কতিপয় বিরোধ ও বিবাদের
সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গ্রাম আদালত গঠনকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের এখতিয়ারাধীন এলাকায় কতিপয় বিরোধ ও বিবাদের সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গ্রাম আদালত গঠন এবং এতদ্সংক্রান্ত বিষয়াবলী সম্পর্কে বিধানকরা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সংক্ষিপ্তশিরোনাম, প্রবর্তনওপ্রয়োগ |
১৷(১) এই আইন গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ নামে অভিহিত হইবে৷ (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে৷ (৩) ইহা কেবলমাত্র ইউনিয়নের এখতিয়ার ভুক্ত এলাকায় প্রযোজ্য হইবে৷ |
||
|
|
||
সংজ্ঞা |
২৷বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (ক) “আমলযোগ্য অপরাধ” অর্থ ফৌজদারী কার্য বিধিতে সংজ্ঞায়িত Cognizable Offence; (খ) “ইউনিয়ন” অর্থ The Local Government (Union Parishads) Ordinance, 1983 (Ordinance No. LI of 1983) এর section 2 এর clause (26) এ সংজ্ঞায়িত ইউনিয়ন; (গ) “ইউনিয়ন পরিষদ” অর্থThe Local Government (Union Parishads) Ordinance, 1983 (Ordinance No. LI of 1983) এর section 2 এর clause (27) এ সংজ্ঞায়িত ইউনিয়ন পরিষদ; (ঘ) “এখতিয়ার সম্পন্ন সহকারী জজ” অর্থ যে সহকারী জজের এখতিয়ার ভুক্ত সীমানার মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নটি অবস্থিত সেই সহকারী জজ এবং যে ক্ষেত্রে অনুরূপ এখতিয়ার সম্পন্ন একাধিক সহকারী জজ রহিয়াছেন সেই ক্ষেত্রে অনুরূপ কনিষ্ঠ তম সহকারী জজ; (ঙ) “গ্রাম আদালত” অর্থ ধারা ৫ এর অধীন গঠিত গ্রাম আদালত; (চ) “চেয়ারম্যান” অর্থ গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান; (ছ) “তফসিল” অর্থ এই আইনের তফসিল; (জ) “দণ্ডবিধি” অর্থ Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860); (ঝ) “দেওয়ানী কার্যবিধি” অর্থ Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908); (ঞ) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত; (ট) “পক্ষ” অর্থে এমন কোন ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত হইবে, যাহার উপস্থিতি কোন বিবাদের সঠিক মীমাংসার জন্য প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হয়, এবং গ্রাম আদালত যাহাকে অনুরূপ বিবাদের একটি পক্ষ হিসাবে সংযুক্ত করে; (ঠ) “ফৌজদারী কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Proecedure, 1898 (Act No. V of 1898); (ড) “বিধি” অর্থ এই আইনে অধীন প্রণীত বিধি; (ঢ) “সিদ্ধান্ত” অর্থ গ্রাম আদালতের কোন সিদ্ধান্ত৷ |
||
|
|
||
গ্রামআদালতকর্তৃকবিচারযোগ্যমামলা |
৩৷(১) ফৌজদারী কার্যবিধি এবং দেওয়ানী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত বিষয়াবলী সম্পর্কিত ফৌজদারী মামলা এবং দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলী সম্পর্কিত দেওয়ানী মামলা, অতঃপর ভিন্ন রকম বিধান না থাকিলে, গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচার যোগ্য হইবে এবং কোন ফৌজদারী বা দেওয়ানী আদালতের অনুরূপ কোন মামলা বা মোকদ্দমার বিচার করিবার এখতিয়ার থাকিবে না৷ (২) গ্রাম আদালত কর্তৃক তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত কোন অপরাধের সহিত সম্পর্কিত কোন মামলা বিচার্য হইবে না যদি উক্ত মামলায় আমল যোগ্য কোন অপরাধের দায়ে কোন ব্যক্তি দোষীসাব্যস্ত হইয়া ইতো পূর্বে গ্রাম আদলত কর্তৃক দণ্ড প্রাপ্ত হইয়া থাকেন, অথবা তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত কোন মামলা ও গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে না, যদি- (ক) উক্ত মামলায় কোন নাবালকের স্বার্থ জড়িত থাকে; (খ) বিবাদের পক্ষ গণের মধ্যে সম্পাদিত কোন চুক্তিতে সালিশের বা বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান থাকে; (গ) সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা কর্তব্য পালনরত কোন সরকারী কর্মচারী উক্ত বিবাদের কোন পক্ষ হয়৷ (৩) যে স্থাবর সম্পত্তির দখল অর্পন করি বা রজন্য গ্রাম আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হইয়াছে, ঐ স্থাবর সম্পত্তিতে স্বত্ব প্রতিষ্ঠাকরি বা রজন্য বা উহার দখল পুনরুদ্ধারের জন্য কোন মোকদ্দমা বা কার্যধারার ক্ষেত্রে উপ-ধারা(১) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে না৷ |
||
|
|
||
গ্রাম আদালত গঠনের আবেদন |
৪৷(১) যে ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন কোন মামলা গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য হয সেই ক্ষেত্রে বিরোধের যে কোন পক্ষ উক্ত মামলা বিচারের নিমিত্ত গ্রাম আদালত গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আবেদন করিতে পারিবেন এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, লিখিত কারণ দর্শাইয়া উক্ত আবেদনটি নাকচ না করিলে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, একটি গ্রাম আদালত গঠন করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন৷ (২) উপ-ধারা(১) অধীন আবেদন নামঞ্জুরের আদেশদ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদেশের বিরুদ্ধে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও নির্ধারিত সময়েরমধ্যে, এখতিয়ার সম্পন্ন সহকারী জজ আদালতে রিভিশন করিতে পারিবেন৷ |
||
|
|
||
গ্রাম আদালত গঠন, ইত্যাদি |
৫৷(১) একজন চেয়ারম্যান এবং উভয় পক্ষ কর্তৃক মনোনীত দুইজন করিয়া মোট চারজন সদস্য লইয়া গ্রাম আদালত গঠিত হইবেঃ তবে শর্তথাকে যে, প্রত্যেক পক্ষ কর্তৃক মনোনীত দুইজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হইতে হইবে৷ (২) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হইবেন, তবে যে ক্ষেত্রে তিনি কোন কারণবশতঃ চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করিতে অসমর্থ হন কিংবা তাঁহার নিরপেক্ষতা সম্পর্কে কোন পক্ষ কর্তৃক প্রশ্ন উত্থাপিত হয় সেইক্ষেত্রে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উপ-ধারা(১) এ উল্লিখিত সদস্য ব্যতীত উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের অন্যকোন সদস্য গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হইবেন৷ (৩) বিবাদের কোন পক্ষে যদি একাধিক ব্যক্তি থাকেন, তবে চেয়ারম্যান উক্ত পক্ষভুক্ত ব্যক্তিগণকে তাহাদের পক্ষের জন্য দুইজন সদস্য মনোনীত করিতে আহ্বান জানাইবেন এবং যদি তাঁহারা অনুরূপ মনোনয়ন দানে ব্যর্থহন তবে তিনি উক্ত ব্যক্তিগণের মধ্যে হইতে যে কোন একজনকে সদস্য মনোনয়ন করিবার জন্য ক্ষমতা প্রদান করিবেন এবং তদানুযায়ী অনুরূপ ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তি সদস্য মনোনয়ন করিবেন৷ (৪) উপ-ধারা(১) এ যাহাকিছুই থাকুক না কেন বিবাদের কোন পক্ষ চেয়ারম্যানের অনুমতি লইয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের পরিবর্তে অন্য কোন ব্যক্তিকে গ্রাম আদালতের সদস্য হিসাবে মনোনীত করিতে পারিবে৷ (৫) এই ধারার অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক নাকেন, যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সদস্য মনোনীত করা সম্ভব না হয়, তবে অনুরূপ সদস্য ব্যতিরেকেই গ্রাম আদালত গঠিত হইবে এবং উহা বৈধভাবে উহার কার্যক্রম চালাইতে পারিবে৷ |
||
|
|
||
গ্রাম আদালতের এখতিয়ার, ইত্যাদি |
৬৷(১) যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘটিত হইবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হইবে, বিবাদের পক্ষগণ সাধারণতঃ সেই ইউনিয়নের বাসিন্দা হইলে, উপ-ধারা(২) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, গ্রাম আদালত গঠিত হইবে এবং উক্ত রূপমামলার বিচার করিবার এখতিয়ার সংশ্লিষ্ট গ্রাম আদালতের থাকিবে৷ (২) যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘটিত হইবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হইবে, বিবাদের এক পক্ষ সেই ইউনিয়নের বাসিন্দা হইলে এবং অপর পক্ষ ভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা হইলে, যে ইউনিয়নের মধ্যে অপরাধ সংঘটিত হইবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হইবে, সেই ইউনিয়নে গ্রাম আদালত গঠিত হইবে; তবে পক্ষগণ ইচ্ছা করিলে নিজ ইউনিয়ন হইতে প্রতিনিধি মনোনীত করিতে পারিবে৷ |
||
|
|
||
গ্রাম আদালতের ক্ষমতা |
৭৷(১) এই আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকিলে, গ্রাম আদালত তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত অপরাধ সমূহের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিকে কেবলমাত্র অনধিক পঁচিশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷ (২) গ্রাম আদালত তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত কোন মামলায় অনুরূপ বিষয়ে তফসিলে উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করিতে বা সম্পত্তির প্রকৃত মালিককে সম্পত্তি বা উহার দখল প্রত্যার্পণ করিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷ |
||
|
|
||
গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়া ও আপিল |
৮৷(১) গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত বাচার-এক(৪:১) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বা চারজন সদস্যের উপস্থিতিতে তিন-এক(৩:১) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইলে উক্ত সিদ্ধান্ত পক্ষগণের উপর বাধ্য করা হইবে এবং এই আইনের বিধান অনুযায়ী কার্যকর হইবে৷ (২) গ্রাম আদালাতের সিদ্ধান্ত তিন-দুই(৩:২) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইলে, সংক্ষুব্ধপক্ষ, উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ত্রিশ দিনের মধ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে- (খ) মামলাটি তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত হইলে, এখতিয়ার সম্পন্ন সহকারী জজ আদালতে আপীল করিতে পারিবে৷ (৩) উপ-ধারা(২) এর অধীন আপীলের ক্ষেত্রে, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা সহকারী জজ আদালতের নিকট যদি সন্তোষ জনক ভাবে প্রতীয়মান হয় যে, বিবেচ্য ক্ষেত্রে গ্রাম আদালত সুবিচার করিতে ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা সহকারী জজ আদালত গ্রাম আদালতের উক্ত সিদ্ধান্ত বাতিল বা পরিবর্তন করিতে পারিবে অথ বা পুনর্বিবেচনার জন্য মামলাটি গ্রাম আদালতের নিকট ফেরত পাঠাইতে পারিবে৷ (৪) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী অনুযায়ী গ্রাম আদালত কর্তৃক কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে উহা অন্য গ্রাম আদালত সহ অন্যকোন আদালতে বিচার্য হইবে না৷ |
||
|
|
||
গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত কার্যকর করণ |
৯৷(১) গ্রাম আদালত কোন ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য অথবা সম্পত্তি বা উহার দখল প্রত্যার্পণ করিবার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে, উক্ত বিষয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আদেশ প্রদান করিবে এবং তাহা নির্দিষ্ট রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবে৷ (২) গ্রাম আদালতের উপস্থিতিতে উহার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাবী মিটানো বাবদ কোন অর্থ প্রদান করা হইলে অথবা কোন সম্পত্তি অর্পণ করা হইলে গ্রাম আদালত, ক্ষেত্রমত, উক্ত অর্থ প্রদন বা সম্পত্তি অর্পণ সংক্রান্ত তথ্য উহার রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবে৷ (৩) যে ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য গ্রাম আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হয় এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত অর্থ প্রদান করা না হয়, সেই ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান উহা ইউনিয়ন পরিষদের বকেয়া কর আদায়ের পদ্ধতিতে Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No. III of 1913) এর অধীনে আদায় করিয়া ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে প্রদান করিবে৷ (৪) যে ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদান না করিয়া অন্য কোন প্রকারে দাবী মিটান সম্ভব, সেই ক্ষেত্রে উক্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর করিবার জন্য বিষয়াটি এখতিয়ার সম্পন্ন সহকারী জজ আদালতে উপস্থাপন করিতে হইবে এবং অনুরূপ আদালত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করিবার জন্য এই রূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে যেন ঐ আদালত কর্তৃকই উক্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করা হইয়াছে৷ (৫) গ্রাম আদালত উপযুক্ত মনে করিলে তত্ কর্তৃক নির্ধারিত কিস্তিতে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের নির্দেশ দিতে পারিবে৷ |
||
|
|
||
সাক্ষী কে সমন দেওয়া, ইত্যাদির ক্ষেত্রে গ্রাম আদালতের ক্ষমতা |
১০৷(১) গ্রাম আদালত যে কোন ব্যক্তিকে আদালতে হাজির হইতে এবং সাক্ষী দেওয়ার জন্য অথবা কোন দলিল দাখিল করিবার বা করাইবার জন্য সমন দিতে পারিবেঃ তবে শর্তথাকে যে- (ক) দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা ১৩৩ এর উপ-ধারা(১) এ যে ব্যক্তিকে স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হইতে অব্যাহতি দেওয়া হইয়াছে তাহাকে ব্যক্তিগত ভাবে হাজির হইতে নির্দেশ দেওয়া যাইবে না; (খ) গ্রাম আদালত যদি যুক্তিসংগত ভাবে মনেকরে যে, অহেতুক বিলম্ব, খরচ বা অসুবিধা ব্যতীত কোন সাক্ষীকে হাজির করা সম্ভবনয়, তবে আদালত সেই সাক্ষীকে সমন দিতে বা সেই সাক্ষীর বিরুদ্ধে প্রদত্ত সমন কার্যকর করিতে অগ্রাহ্য করিতে পারিবে; (গ) গ্রাম আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত এলাকায় বসবাস কারী কোন ব্যক্তির ভ্রমণ ও অন্যান্য খরচ নির্বাহ বাবদ, আদালতের বিবেচনামতে, পর্যাপ্ত অর্থ তাহাকে প্রদানের জন্য আদালতে জমা দেওযা না হইলে, গ্রাম আদালত ঐ ব্যক্তিকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য অথবা কোন দলিল দাখিল করিবার বা করাইবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবে না; (ঘ) গ্রাম আদালত রাষ্ট্রীয় বিষয়াবলী সম্পর্কিত কোন গোপনীয় দলিল বা অপ্রকাশিত সরকারী রেকর্ড দাখিল করিবার জন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবে না বা সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত অনুরূপ গোপনীয় দলিল বা অপ্রকাশিত সরকারী রেকর্ড হইতে আহরিত কোন সাক্ষ্য প্রদানের জন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবে না৷ (২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা(১) এর অধীনে জারীকৃত সমন ইচ্ছা পূর্বক অমান্য করিলে, গ্রাম আদালত অনুরূপ অমান্যতা আমল যোগ্য অপরাধ গণ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে, তাঁহার বক্তব্য পেশের সুযোগ প্রদান সাপেক্ষে, অনধিক পাঁচশত টাকা জরিমানা করিতে পারিবে৷ |
||
|
|||
গ্রাম আদালতের অবমাননা |
১১৷(১) কোন ব্যক্তি আইন সংগত কারণ ব্যতীত যদি- (ক) গ্রাম আদালত বা উহার কোন সদস্যকে আদালতের কার্যক্রম চলাকালে অশালীন কথাবার্তা, ভয়ভীতিপ্রদর্শন, আক্রমনাত্মক বা অন্যবিধ আচরণ দ্বারা কোন প্রকার অপমান করেন; বা (খ) গ্রাম আদালতের কার্যক্রমে কোনরূপ ব্যাঘাত সৃষ্টি করেন; বা (গ) গ্রাম আদালতের আদেশ সত্ত্বেও, কোন দলিল দাখিল বা অর্পণ বা হস্তান্তর করিতে ব্যর্থ হন; বা (ঘ) গ্রাম আদালতের যে প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি বাধ্য, সেই রূপ কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন; বা (ঙ) সত্য কথা বলিবার শপথ গ্রহণ করিতে বা গ্রাম আদালতের নির্দেশ মোতাবেক তাহার প্রদত্ত জবানবন্দীতে স্বাক্ষর করিতে অস্বীকার করেন-তাহা হইলে তিনি গ্রাম আদালত অবমাননার দায়ে অপরাধী হইবেন৷ (২) উপ-ধারা(১) এর অধীন কৃত অপরাধের ক্ষেত্রে, আদালতের নিকট কোন অভিযোগ পেশ করা না হইলেও, গ্রাম আদালত অনুরূপ অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত বাক্তির বিচার করিতে পারিবে এবং তাহাকে অনধিক পাঁচশত টাকা জরিমানা করিতে পারিবে৷ |
||
|
|
||
জরিমানা আদায় |
১২৷(১) ধারা ১০ ও ১১ এর অধীন ধার্যকৃত জরিমানা পরিশোধ করা না হইলে গ্রাম আদালত সংশ্লিষ্ট তথ্য সহ উক্ত ধার্যকৃত জরিমানার পরিমাণ এবং উহা পরিশোধিত নাহওয়ার বিষয় লিপিবদ্ধ করিয়া উহা আদায়ের জন্য এখতিয়ার সম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট সুপারিশ করিবে৷ (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সুপারিশ প্রাপ্ত হইবার পর সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধির বিধান মোতাবেক উক্ত জরিমানা আদায় করিবার জন্য এই রূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন যেন উহা তদ্কর্তৃক ধার্য হইয়াছে এবং অনুরূপ জরিমানা অনাদায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷ (৩) ধারা ১০, ১১ বাউপ-ধারা(২) এর অধীন আদায়কৃত সমস্ত জরিমানা ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে জমা হইবে৷ |
||
|
|
||
পদ্ধতি |
১৩৷(১) এই আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকিলে, Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1872), ফৌজদারী কার্যবিধি, এবং দেওয়ানী কার্যবিধির নিধানাবলী কোন গ্রাম আদালতে আনীত মামলায় প্রযোজ্য হইবে না৷ (২) গ্রাম আদালতে আনীত সকল মামলার ক্ষেত্রে Oaths Act, 1873 (Act No. X of 1873) এর sections 8, 9, 10 ও11 প্রযোজ্য হইবে৷ (৩) কোন সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে এই আইনের অধীন কোন মামলা দায়ের করা হইলে, তিনি যদি এই মর্মে আপত্তি উত্থাপন করেন যে, কথিত অপরাধ তাহার সরকারী দায়িত্ব পালনকালে বা দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সংঘটিত হইয়াছে, তাহা হইলে উক্ত অপরাধ বিচারের জন্য তাহার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদনের প্রয়োজন হইবে৷ |
||
|
|
||
|
১৪৷অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুকনা কেন, গ্রাম আদালতে দায়েরকৃত কোন মামলা পরিচালনার জন্য কোন পক্ষ কোন আইনজীবী নিয়োগ করিতে পারিবেন না৷ |
||
|
|
||
সরকারী কর্মচারী, পর্দানশীল বৃদ্ধমহিলা এবং শারীরিক ভাবে অক্ষম ব্যক্তির পক্ষে প্রতিনিধিত্ব |
১৫৷(১) আদালতের সম্মুখে উপস্থিত হইতে হইবে এমন কোন সরকারী কর্মচারী যদি তাহার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুপারিশ সহ এই মর্মে আপত্তি উত্থাপন করেন যে, তাহার ব্যক্তিগত উপস্থিতির ফলে সরকারী দায়িত্ব পালন ক্ষতিগ্রস্ত হইবে, তাহা হইলে আদালত তাহার নিকট হইতে যথাযথ ভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধকে তাহার পক্ষে গ্রাম আদালতের সম্মুখে হাজির হইবার জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে৷ |
||
|
|
||
কতিপয় মামলার স্থানান্তর |
১৬৷(১) যে ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনে করেন যে, তফসিলের ১ম অংশে বর্ণিত বিষয়াবলী সম্পর্কিত গ্রাম আদালতে বিচারাধীন কোন মামলার পরিস্থিতি এই রূপ যে জনস্বার্থে ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে কোন ফৌজদারী আদালতে উহার বিচার হওয়া উচিত, সেই ক্ষেত্রে, এই আইনে যাহা বলা হইয়াছে তাহা সত্ত্বেও, তিনি গ্রাম আদালত হইতে উক্ত মামলা প্রত্যাহার করিতে এবং বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য উহা ফৌজদারী আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারিবেন৷ |
||
|
|
||
পুলিশ কর্তৃক তদন্ত |
১৭৷এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন মামলার বিষয়বস্তু তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত অপরাধ সম্পর্কিত হওয়ার কারণে পুলিশ সংশিষ্ট আমলযোগ্য মামলার তদন্ত বন্ধ করিবেনা; তবে যদি কোন ফৌজদারী আদালতে অনুরূপ কোন মামলা আনীত হয় তাহা হইলে, উক্ত আদালত উপযুক্ত মনে করিলে, মামলাটি এই আইনের বিধান মোতাবেক গঠিত কোন গ্রাম আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারিবে৷ |
||
|
|
||
বিচারাধীন মামলাসমূহ |
১৮৷এই আইন মোতাবেক বিচারযোগ্য যে সকল মামলা এই আইন বলবত্ হইবার অব্যবহিত পূর্বে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী আদালতে বিচারাধীন রহিয়াছে, উহাদের উপর এই আইন প্রযোজ্য হইবেনা, এবং অনুরূপ মামলা অনুরূপ আদালত কর্তৃক এই রূপে মীমাংসা করা হইবে যেন এই আইন প্রণীত হয় নাই৷ |
||
অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা |
১৯৷সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোন এলাকা বা এলাকা সমূহ বা যে কোন শ্রেণীর মামলা সমূহ বা যে কোন সম্প্রদায়কে এই আইনের সকল বা যে কোন বিধানের প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে৷ |
||
|
|
||
বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা |
২০৷এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷ |
||
|
|
||
রহিত করণ ও হেফাজত |
২১৷(১) The Village Court Ordinance, 1976 (Ordinance No. LXI of 1976), অতঃপর রহিত অধ্যাদেশ বলিয়া উল্লেখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল৷ |
২০১৬ সালের গ্রাম আদালত বিধিমালা
১। শিরোনাম- এই বিধিমালা গ্রাম আদালত বিধিমালা, ২০১৬ নামে অভিহিত হইবে।
২। সংজ্ঞা- বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে এই বিধিমালায়
(ক) ""আইন'' অর্থ গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ (২০০৬ সালের ১৯ নং আইন);
(খ) ""আবেদনকারী'' অর্থ বিবাদের কোন পক্ষ যিনি বিরোধীয় বিষয়ে আবেদন করেন;
(গ) ""ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান'' অর্থ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ক্ষেত্রমতে, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৩ অনুসারে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের প্যানেল হইতে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি;
(ঘ) ""চেয়ারম্যান'' অর্থ গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান;
(ঙ) ""তফসিল'' অর্থ আইনের তফসিল বা উহার কোন অংশ;
(চ) ""ধারা'' অর্থ আইনের কোন ধারা;
(ছ) ""প্রতিবাদী'' অর্থ বিবাদের অন্য পক্ষ যাহার বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়;
(জ) ""ফরম'' অর্থ এই বিধিমালার কোন ফরম;
(ঝ) ""সদস্য'' অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য; এবং
(ঞ) ""আদালতের সদস্য'' অর্থ গ্রাম আদালতের সদস্য।
৩। আবেদনপত্র দাখিল-
(১)
আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী গ্রাম আদালত গঠনের জন্য আবেদনকারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যনের নিকট নির্ধারিত ফরম-১ এ আবেদন দাখিল করিবে।
(২)
উপ-বিধি (১) এর বিধান অনুযায়ী উক্ত আবেদনে নিমড়বলিখিত বিবরণ থাকিতে হইবে, যথা:
(ক) যে ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করা হইয়াছে উহার নাম;
(খ) আবেদনকারী এবং তাহার পিতা, মাতা এবং ক্ষেত্রমত, স্বামী বা স্ত্রীর নাম এবং ঠিকানা;
(গ) প্রতিবাদী এবং তাহার পিতা, মাতা এবং ক্ষেত্রমত, স্বামী বা স্ত্রীর নাম এবং ঠিকানা;
(ঘ) যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা বিরোধ বা মামলার কারণ উদ্ভব হইয়াছে সেই ইউনিয়নের এখতিয়ারভুক্ত স্থানের নাম;
(ঙ) সংক্ষিপ্ত বিবরণাদিসহ অভিযোগ বা দাবীর প্রকৃতি ও মূল্যায়ন (আর্থিক মূল্যমান);
(চ) সাক্ষীগণ এবং তাহাদের পিতা, মাতা এবং ক্ষেত্রমত, স্বামী বা স্ত্রীর নাম এবং ঠিকানা; এবং
(ছ) প্রার্থিত প্রতিকার।
(৩)
উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী আবেদনপত্র দাখিল করিবার সময় আইনের তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত ফৌজদারী মামলা হইলে ১০ (দশ) টাকা এবং দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত দেওয়ানী মামলা হইলে ২০ (বিশ) টাকা হারে ফিস প্রদান করিতে হইবে।
৪। আবেদনপত্র পরীক্ষা-
(১)
চেয়ারম্যান কোন আবেদন প্রাপ্ত হইলে প্রাথমিকভাবে উহার উপযুক্ততা পরীক্ষা করিয়া দেখিবেন।
(২)
উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য আবেদনপত্রে বর্ণিত অভিযোগটি আইনের তফসিলভুক্ত কিনা তাহা যাচাই করিতে হইবে।
(৩)
আবেদনপত্র পরীক্ষাপূর্বক সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, আবেদনপত্রে বর্ণিত অভিযোগটি গ্রাম আদালতে বিচার্য নহে তাহা হইলে অবিল¤ে¦ লিখিতভাবে অগ্রাহ্যের কারণ উল্লেখপূর্বক আবেদন পত্রটি আবেদনকারীর নিকট ফেরত দিবেন।
৫। আবেদনপত্র গ্রহণ -
(১)
আবেদনপত্র গ্রহণের পর আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী অবিল¤ে¦ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের প্যানেল হইতে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি গ্রাম আদালত গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন।
(২)
যখন কোন আবেদনপত্র গৃহীত হয়, উহার বিবরণ তাৎক্ষণিকভাবে ফরম-২ এ মামলা রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং উক্ত রেজিস্টার বহি অনুযায়ী মামলাটির ন¤¦র ও সন আবেদনপত্রের উপর লিখিত হইবে এবং ফরম-৩ এ আদেশনামায় আবেদনপত্র গৃহীত হওয়া সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় আদেশ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
(৩)
আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (২) অনুযায়ী যদি প্রম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা সহকারী জজ আদালতের নিকট আবেদন করা হয় এবং প্রম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা সহকারী জজ আদালত যদি মনে করেন যে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যে আদেশ প্রদান করিয়াছেন তাহা সঠিক বা আইনানুগ নহে সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আবেদনপত্র গ্রহণ করিবার জন্য লিখিত নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(৪)
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট মামলা ফেরত পাঠানো হইলে উহা ফরম- ২ এ বিধৃত মামলা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিয়া বিচার পক্রিয়া শুরু করিতে হইবে।
(৫)
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজে আবেদনকারী হইলে বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দাখিল করিতে হইলে, চেয়ারম্যান প্যানেলের ১নং সদস্যের নিকট উহা দাখিল করিতে হইবে।
৬। রিভিশন-
(১)
আবেদনকারী দাখিলকৃত আবেদন অগ্রাহ্য হইবার তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (২) অনুযায়ী যথাযথ এখতিয়ারসম্পনড়ব সহকারী জজ আদালতের নিকট রিভিশন দাখিল করিতে পারিবে।
(২)
উপ-বিধি (১) অনুযায়ী রিভিশন আবেদনের সংক্ষিপ্ত কারণ উল্লেখ করিয়া উক্ত আবেদনে পক্ষগণের নাম, পরিচয় ও ঠিকানাসহ লিখিত এবং আবেদনকারীর স্বাক্ষর বা টিপসহিযুক্ত হইতে হইবে এবং উহার সহিত ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান কর্তৃক অগ্রাহ্যকৃত মূল আবেদনপত্রটি জমা দিতে হইবে ।
৭। রিভিশন আবেদন নিষ্পত্তি-
(১)
আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুযায়ী যদি সহকারী জজ আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যে আদেশ দিয়াছেন তাহা সঠিক বা আইনানুগ নহে তাহা হইলে তিনি উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আবেদনপত্র গ্রহণ করিবার জন্য লিখিত নির্দেশ প্রদান করিয়া রিভিশনটি নিষ্পত্তি করিবেন।
(২)
আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আদালত রিভিশন দায়েরের তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্ত রিভিশন নিষ্পন্ন করিবেন।
৮। সমন জারী, ইত্যাদি-
(১)
বিধি ৭ অনুযায়ী আবেদনপত্র মামলা রেজিস্টার বহিতে অন্তর্ভুক্ত করিবার পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মামলা গ্রহণের তারিখ হইতে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে তৎকর্তৃক নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে উপস্থিত হইবার জন্য আবেদনকারীকে অবহিত করিবেন এবং প্রতিবাদীকেও অনুরূপ নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে উপস্থিত হইবার জন্য ফরম-৪ অনুযায়ী সমন জারী করিবেন।
(২)
প্রতিটি সমন দুই প্রস্থে লিখিত এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও মোহরাঙ্কিত হইতে হইবে এবং গ্রাম আদালত গঠিত হইবার পর একইরূপে উহা চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও মোহরাঙ্কিত হইতে হইবে।
(৩)
প্রতিটি সমন ইউনিয়ন পরিষদের কোন কর্মচারী অথবা ক্ষেত্রমত, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা চেয়ারম্যান কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি জারী করিবেন।
(৪)
যে প্রতিবাদীর প্রতি সমন দেওয়া হয় সমনের একপ্রস্থ তাহাকে অর্পণ করিয়া বা তাহার নিকট প্রেরণ করিয়া উক্ত সমন তাহার উপর ব্যক্তিগতভাবে জারী করিতে হইবে।
(৫)
সমন জারী অন্তে এই কাজের জন্য নিয়োজিত ব্যক্তি সমনের অন্য প্রস্থের উল্টা পৃষ্ঠায় সমন গ্রহীতার প্রাপ্তিসূচক স্বাক্ষর গ্রহণ করিবেন এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের অনুপস্থিতিতে তিনি বা তাহার পরিবারের সদস্য বরাবর সমন জারী করা হইলে সমনের অন্য প্রস্থের উল্টা পৃষ্ঠায় সমনগ্রহীতার পক্ষে প্রাপ্তিসূচক স্বাক্ষর গ্রহণ করিবেন।
(৬)
যথাবিহিত চেষ্টা সত্ত্বেও উপ-বিধি (৫) এ বর্ণিত পদ্ধতিতে সমন জারী করা সম্ভব না হইলে সমন জারীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী দুই প্রস্থ সমনের এক প্রস্থ সমন প্রদত্ত ব্যক্তি সাধারণত যে বাড়ীতে বসবাস করিয়া থাকেন,উহার কোন প্রকাশ্য স্থানে লটকাইয়া জারী করিবেন যাহাতে উক্ত সমন যথাবিহিতভাবে জারী করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য করা যাইবে।
(৭)
যে ব্যক্তিকে সমন প্রদান করা হইয়া থাকে তিনি যদি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার বাহিরে বসবাস করিয়া থাকেন, তাহা হইলে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ বা গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান রেজিস্ট্রী ডাকযোগে (প্রাপ্তিস্বীকার পত্রসহ) সমন জারী করাইতে পারিবেন এবং আবেদনকারীকে এই বাবদ খরচ বহন করিতে হইবে।
৯। গ্রাম আদালতে প্রতিনিধি মনোনয়ন-
(১)
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন পক্ষ আদালতের সদস্য মনোনয়ন করিতে ব্যর্থ হইলে এইরূপ ব্যর্থতার বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করিবেন, অন্যথায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট পক্ষের নিকট ব্যর্থতার কারণ জানিতে চাহিবেন।
(২)
উপ-বিধি (১) অনুসারে প্রাপ্ত কারণ সন্তোষজনক বলিয়া প্রতীয়মান হইলে চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট পক্ষকে তাহার সম্মতিক্রমে ইউনিয়ন পরিষদের কোন সদস্য এবং স্থানীয় কোন ব্যক্তিকে আদালতের সদস্য মনোনয়নপূর্বক গ্রাম আদালত গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন।
(৩)
শুনানীকালে কোন পক্ষের প্রতিনিধি অনুপস্থিত থাকিলে চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট পক্ষের সম্মতিক্রমে ইউনিয়ন পরিষদ এর কোন সদস্য এবং স্থানীয় ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে আদালতের সদস্য মনোনয়নপূর্বক মামলার নিষ্পত্তি করিতে পারিবেন।
১০। গ্রাম আদালত গঠন।
(১)
প্রতিবাদীর উপর সমন জারী করা হইলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পক্ষগণকে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে তাহাদের আদালতের সদস্য মনোনয়ন করিবার জন্য ফরম-৬ অনুযায়ী নির্দেশ দিবেন।
(২)
মামলার পক্ষগণ উপ-বিধি (১) অনুযায়ী নির্দেশপ্রাপ্ত হইবার ৭ (সাত) দিনের মধ্যে ফরম- ৭ অনুযায়ী স্ব স্ব সদস্যগণের মনোনয়ন প্রদান করিবেন।
(৩)
উপ-বিধি (২) অনুযায়ী মনোনীত আদালতের সদস্যগণ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে লইয়া গ্রাম আদালত গঠিত হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, আবেদনপত্র গৃহীত হইবার সর্বোচ্চ ১৪ (চৌদ্দ) দিনের মধ্যে গ্রাম আদালত
গঠিত হইতে হইবে।
(৪)
আদালতের সদস্যগণের নাম পাইবার পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরম-২ এ বর্ণিত মামলা রেজিস্টারের সংশ্লিষ্ট কলামে সদস্যগণের নাম লিপিবদ্ধ করিবেন।
(৫)
উপ-বিধি (২) অনুযায়ী মনোনীত আদালতের সদস্যগণকে মামলার শুনানীর জন্য নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে উপস্থিত হইবার জন্য মনোনয়নের বিষয়ে অবহিত করিয়া ফরম-৮ এ গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান অনুরোধপত্র প্রেরণ করিবেন।
(৬)
যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে অথবা মামলার কারণ উদ্ভব হইয়াছে, পক্ষদ্বয় সেই ইউনিয়নের অধিবাসী না হইলেও উক্ত ইউনিয়নে গ্রাম আদালত গঠিত হইবে।
(৭)
মামলার কোন পক্ষ বা পক্ষদ্বয় উক্ত ইউনিয়নের অধিবাসী না হইলে তিনি অথবা তাহারা নিজ নিজ ইউনিয়ন হইতে আদালতের সদস্য মনোনয়ন করিতে পারিবেন।
১১। লিখিত আপত্তি-
(১)
গ্রাম আদালত গঠিত হইবার পর, চেয়ারম্যান প্রতিবাদীকে ৩ (তিন) দিনের মধ্যে বিরোধীয় বিষয়ে আবেদনের বিরুদ্ধে তাহার লিখিত আপত্তি দাখিল করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন।
(২)
প্রতিবাদী কর্তৃক লিখিত আপত্তি দাখিল এর বিষয়টি ঐচ্ছিক বিধায় একই সাথে গ্রাম
আদালতের অপরাপর কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে।
১২। গ্রাম আদালতের অধিবেশন-
(১)
গ্রাম আদালত গঠিত হইবার পর গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে যে কোন দিনে গ্রাম আদালতের অধিবেশনের তারিখ, সময় ও স্থান নির্ধারণ করিবেন।
(২)
পক্ষগণকে তাহাদের নিজ নিজ মামলার সমর্থনে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য (মৌখিক অথবা
দালিলিক) উপস্থিত করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন।
১৩। প্রাক বিচার-
(১)
প্রম অধিবেশনের শুনানী অন্তে বিচার্য বিষয় নির্ধারিত হইলে আইনের ধারা ৬ক অনুযায়ী প্রাকবিচারের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়টি বিচারক প্যানেল এর পক্ষ হইতে উভয়পক্ষের নিকট উপস্থাপন করিতে হইবে।
(২)
উভয় পক্ষ এইরূপ নিষ্পত্তিতে সম্মত হইলে গ্রাম আদালত আপোষ নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করিবে এবং সেইক্ষেত্রে একই দিনে প্রাক বিচারের মাধ্যমে আপোষনামা সম্পাদন করা যাইবে।
(৩)
আপোষ নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ ও এর প্রতিটি পর্যায় গ্রাম আদালতের উপস্থিতিতে ফরম- ৯ অনুযায়ী সম্পাদন করিতে হইবে এবং এক্ষেত্রে উভয়পক্ষ কারো প্ররোচনা ব্যতীত আপোষে সম্মত হইয়াছেন মর্মে আপোষনামায় উল্লেখ থাকিবে।
(৪)
আপোষনামায় বর্ণিত শর্তাবলী গ্রাম আদালত আইন ও বিধিমালার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হইতে হইবে এবং প্রতিবাদী কর্তৃক আবেদনকারীর দাবী মেটানোর শর্তসমূহ অবশ্যই প্রাকবিচারের আপোষনামা সম্পাদনের তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাসের অধিক হইবে না।
(৫)
প্রাকবিচারের উদ্যোগের শুরুতেই ফরম-৯ অনুযায়ী আপোষনামা সম্পাদনপূর্বক বিচার্য বিষয় নিষ্পত্তি করা হইলে উহার বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিশন করা যাইবেনা মর্মে আবেদনকারী ও প্রতিবাদী পক্ষকে মৌখিকভাবে অবহিত করিতে হইবে।
১৪। শুনানী মুলতবী-
(১)
বিধি ১৩ এর উপ-বিধি (৩) অনুযায়ী প্রাক বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তি না হইলে আইনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলাটির বিচার কার্য শুরু করিয়া তাহা সম্পন্ন করিতে হইবে।
(২)
বিচার কার্য সম্পাদনকালে গ্রাম আদালত পর্যাপ্ত কারণ থাকিলে মামলার শুনানী মূলতবী করিতে পারিবেন যাহা প্রতিক্ষেত্রে ৭ (সাত) দিনের অধিক হইবে না।
(৩)
মামলার যে কোন পক্ষের চাহিদা মোতাবেক গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান মামলার শুনানীর তারিখ ও নির্ধারিত বিষয় বিবৃত করিয়া ফরম-১১ এ মামলার স্লিপ প্রদান করিবেন বা করিবার ব্যবস্থা করিবেন।
১৫। সাক্ষীর প্রতি সমন ও সাক্ষ্য গ্রহণ-
(১)
সাক্ষীর প্রতি সমন ফরম-৫ অনুযায়ী জারী করিতে হইবে।
(২)
প্রতিটি সমন দুইপ্রস্থে লিখিত এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও মোহরাঙ্কিত হইতে হইবে।
(৩)
প্রতিটি সমন ইউনিয়ন পরিষদের কোন কর্মচারী অথবা ক্ষেত্রমত, চেয়ারম্যান কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি জারী করিবেন।
(৪)
যে সাক্ষীর প্রতি সমন দেওয়া হয় সমনের একপ্রস্থ তাহাকে অর্পণ করিয়া বা তাহার নিকট প্রেরণ করিয়া উক্ত সমন তাহার উপর ব্যক্তিগতভাবে জারী করিতে হইবে।
(৫)
সমন জারী অন্তে এই কাজের জন্য নিয়োজিত ব্যক্তি সমনের অন্য প্রস্থের উল্টা পৃষ্ঠায় সমন গ্রহীতার প্রাপ্তিসূচক স্বাক্ষর গ্রহণ করিবেন এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের অনুপস্থিতিতে তিনি বা তাহার পরিবারের সদস্য বরাবর সমন জারী করা হইলে সমনের অন্য প্রস্থের উল্টা পৃষ্ঠায় সমনগ্রহীতার পক্ষে প্রাপ্তিসূচক স্বাক্ষর গ্রহণ করিবেন।
(৬)
যথাবিহিত চেষ্টা সত্ত্বেও উপ-বিধি (৫) এ বর্ণিত পদ্ধতিতে সমন জারী করা সম্ভব না হইলে সমন জারীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী দুইপ্রস্থ সমনের একপ্রস্থ সমন প্রদত্ত ব্যক্তি সাধারণত যে বাড়ীতে বসবাস করিয়া থাকেন, উহার কোন প্রকাশ্য স্থানে লটকাইয়া জারী করিবেন যাহাতে উক্ত সমন যথাবিহিতভাবে জারী করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য করা যাইবে।
(৭)
যে ব্যক্তিকে সমন প্রদান করা হইয়া থাকে তিনি যদি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার বাহিরে বসবাস করিয়া থাকেন, তাহা হইলে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ বা গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান রেজিস্ট্রী ডাকযোগে (প্রাপ্তিস্বীকার পত্রসহ) সমন জারী করাইতে পারিবেন এবং আবেদনকারীকে এই বাবদ খরচ বহন করিতে হইবে।
(৮)
মামলার পক্ষগণ এবং সাক্ষী বা সাক্ষীগণ প্রতিটি শুনানীর তারিখে ফরম-১০ এ বর্ণিত হাজিরায় স্বাক্ষর বা টিপসহি প্রদান করিবেন।
(৯)
গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান সাক্ষীকে সশ্রদ্ধচিত্তে দৃঢ়ভাবে ঘোষণা বা শপথ গ্রহণপূর্বক বিবৃতি প্রদান করিতে নির্দেশ দিবেন এবং উহার সারমর্ম লিপিবদ্ধ করিবেন বা করাইবেন।
(১০)
গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান অথবা প্যানেলভুক্ত যে কোন সদস্য মামলার পক্ষদ্বয় অথবা তাহাদের পক্ষের সাক্ষীগণকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিতে পারিবেন।
১৬। স্থানীয় পরিদর্শন। গ্রাম আদালত বিচারাধীন যে কোন মামলার যে কোন পর্যায়ে পক্ষগণের মধ্যে বিবাদের যে কোন বিষয় সম্পর্কে অবগত হইবার জন্য অথবা বিচার কার্য অধিকতর ন্যায়ানুগ করিবার জন্য প্রয়োজন মনে করিলে স্থানীয়ভাবে পরিদর্শন করিতে পারিবে।
১৭। আবেদনকারীর অনুপস্থিতিতে আবেদন খারিজ, ইত্যাদি-
(১)
যদি কোন ক্ষেত্রে আবেদনকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট হাজির হইবার জন্য এবং গ্রাম আদালতের মামলার শুনানীর জন্য নির্ধারিত তারিখে হাজির হইতে ব্যর্থ হন এবং গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যানের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, আবেদনকারী মামলা পরিচালনায় অবহেলা করিতেছেন তাহা হইলে কারণ উল্লেখ করিয়া উক্ত আবেদন খারিজ করিবেন।
(২)
উপ-বিধি (১) অনুযায়ী কোন আবেদনপত্র খারিজ হইলে উহা পুনর্বহালের জন্য খারিজ হওয়ার তারিখ হইতে ১০ (দশ) দিনের মধ্যে আবেদনকারী ক্ষেত্রমত, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
অথবা চেয়ারম্যানের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিবেন এবং উক্ত আবেদনে উল্লিখিত অনুপস্থিতির কারণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা চেয়ারম্যানের নিকট সন্তোষজনক বলিয়া প্রতীয়মান হইলে মামলাটি পুনর্বহাল করিয়া উহার শুনানীর তারিখ ধার্য করিতে পারিবেন।
(৩)
উপ-বিধি (২) অনুযায়ী মামলা পুনর্বহাল করা হইলে উক্ত মামলায় ইতোপূর্বে গ্রাম আদালত গঠিত হইয়া থাকিলে উহা বহাল রহিয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে।
(৪)
মামলার সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণ হইবার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিন যদি আবেদনকারী অনুপস্থিত থাকেন তাহা হইলে গ্রাম আদালত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ঘোষণা করিতে পারিবেন অথবা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করিতে পারিবেন।
১৮। প্রতিবাদীর অনুপস্থিতিতে মামলা নিষ্পত্তি, ইত্যাদি-
(১)
যদি প্রতিবাদী মামলার শুনানীর জন্য গ্রাম আদালতের নির্ধারিত তারিখে হাজির হইতে ব্যর্থ হন এবং যদি তিনি অবহেলা প্রদর্শন করিতেছেন বলিয়া চেয়ারম্যানের নিকট প্রতীয়মান হয় তাহা হইলে চেয়ারম্যান প্রতিবাদীর অনুপস্থিতিতেই মামলার শুনানী এবং নিষ্পত্তি করিতে পারিবেন।
(২)
উপ-বিধি (১) অনুযায়ী প্রতিবাদীর অনুপস্থিতিতে কোন মামলার শুনানী হইলে এবং প্রতিবাদীর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ১০ (দশ) দিনের মধ্যে প্রতিবাদী চেয়ারম্যানের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিতে পারিবেন।
(৩)
উপ-বিধি (২) অনুযায়ী প্রতিবাদীর আবেদন এবং অনুপস্থিতির কারণ চেয়ারম্যানের নিকট সন্তোষজনক বলিয়া প্রতীয়মান হইলে চেয়ারম্যান মামলাটি পুনর্বহাল করিবেন এবং উহার পুনঃশুনানীর জন্য তারিখ নির্ধারণ করিবেন।
১৯। গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত-
(১)
প্রত্যেক মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর ফরম-১২ অনুযায়ী চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি ডিক্রী প্রদান করা হইবে।
(২)
চেয়ারম্যান উক্ত আদালতের প্রত্যেক সিদ্ধান্ত প্রকাশ্য আদালতে ঘোষণা করিবেন।
(৩)
গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হইলে অথবা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত না হইয়া থাকিলে, তাহা যে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় গৃহীত হইয়াছে তাহার অনুপাত উল্লেখপূর্বক ফরম-২ এর মামলা রেজিস্টারের ১১নং কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
২০। ডিক্রী রেজিস্টার, ইত্যাদি-
(১)
বিধি ১৯ অনুযায়ী গ্রাম আদালত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে চেয়ারম্যান ফরম-১২ এর ডিক্রি রেজিস্টারের ৭ নং কলামে আদালতের সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করিবেন।
(২)
প্রম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অথবা সহকারী জজ আদালত কর্তৃক আইনের ধারা ৮ এর উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী প্রদত্ত কোন আদেশ যথাযথভাবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানাইতে হইবে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তদানুযায়ী ফরম-১২ এর ডিক্রী রেজিস্টারে উক্ত প্রয়োজনীয় বিষয়াদি সেই মর্মে লিপিবদ্ধ করিয়া ডিক্রী বা আদেশ সংশোধন করিবেন।
২১। আপীলের আবেদন-
(১)
আইনের ধারা ৮ এর উপ-ধারা (২) অনুযায়ী আপীলের আবেদন আবেদনকারী কর্তৃক লিখিত এবং স্বাক্ষরিত হইতে হইবে এবং উহাতে পক্ষগণের নাম, পরিচয় ও ঠিকানা এবং আবেদনের কারণসমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ থাকিতে হইবে।
(২)
আবেদনপত্রের সহিত গ্রাম আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রী বা আদেশের একটি অনুলিপি সংযুক্ত করিতে হইবে এবং অনুলিপিটি চেয়ারম্যানের নিজ স্বাক্ষরে প্রত্যায়িত হইতে হইবে।
(৩)
আইনের ধারা ৮ এর উপ-ধারা (২) অনুযায়ী দাখিলকৃত আপীল আবেদন ফৌজদারী মামলার এখতিয়ার সম্পন্ন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এবং দেওয়ানী মামলার এখতিয়ার সম্পন্ন সহকারী জজ আদালতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে দায়ের করিতে হইবে।
২২। ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান-
(১)
গ্রাম আদালত যে মেয়াদ নির্ধারণ করিবে সেই মেয়াদেও মধ্যে ডিক্রী বা ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান করিতে হইবে, কিন্তু কোনক্রমেই উক্ত মেয়াদ চূড়ান্ত আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাসের অধিক হইবে না।
(২) উপ-বিধি (১) অনুযায়ী প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণের অর্থ ফরম-১৩ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অর্থ লেনদেন রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
২৩। নথিপত্র দেখা- চেয়ারম্যান অথবা উক্ত বিরোধীয় বিষয়ে কোন গ্রাম আদালত না থাকিলে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবাদের কোন পক্ষের আবেদনক্রমে উক্ত পক্ষ হইতে ২০ (বিশ) টাকা হারে ফিস গ্রহণে গ্রাম আদালতের বিবাদ সম্পর্কিত নথিপত্র দেখিবার অনুমতি প্রদান করিবেন।
২৪। নকল সরবরাহ- (১) চেয়ারম্যান অথবা উক্ত বিরোধীয় বিষয়ে কোন গ্রাম আদালত না থাকিলে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবাদের কোন পক্ষের আবেদনক্রমে উক্ত পক্ষকে প্রতি পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ৫ (পাঁচ) টাকা হারে ফিস প্রদানের পর, সংশ্লিষ্ট নথিপত্র অথবা এই বিধিমালা অনুযায়ী রক্ষিত কোন রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত কোন বিষয় বা উহার অংশ বিশেষের নকল বা ফটোকপি সরবরাহ করিবেন।
(২) সরবরাহকৃত নকল বা ফটোকপিতে চেয়ারম্যান অথবা উক্ত বিরোধীয় বিষয়ে কোন গ্রাম আদালত না থাকিলে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করিবেন এবং আদালতের সীলমোহর ব্যবহার করিবেন।
২৫। রসিদ প্রদান, ইত্যাদি- (১) আইনের ধারা ৯ এবং ধারা ১১ অনুযায়ী কোন জরিমানা প্রদান করা হইলে বা ধারা ১২ অনুযায়ী তাহা আদায় করা হইলে অথবা এই বিধিমালা অনুযায়ী কোন ফিস আদায় করা হইলে, ফরম-১৪ অনুযায়ী ক্রমিক ন¤¦র সম্বলিত উহার একটি রসিদ প্রদান করিতে হইবে এবং উহার মুড়িপত্র ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে জমা রাখিতে হইবে।
(২) প্রাপ্ত সকল জরিমানা ও ফিস ফরম-১৫ এর ফিস বা জরিমানা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
(৩) এই বিধিমালা অনুযায়ী প্রদেয় সকল ফিস ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলের অন্তর্ভুক্ত হইবে।
২৬। ইউনিয়ন পরিষদ ডাক রেজিস্টার-(১) গ্রাম আদালত সংক্রান্ত সমন এবং অন্যান্য চিঠিপত্রের যথাযথ রেকর্ড সংরক্ষণের জন্য ফরম-১৬ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ পত্র প্রদান রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
(২) গ্রাম আদালতের প্রতিটি সমন ইস্যু, জারী ও চিঠিপত্রের প্রয়োজনীয় বিবরণী উহাতে অন্তর্ভুক্ত হইবে।
২৭। অভিযোগ গ্রহণ এবং নিষ্পত্তির প্রতিবেদন-(১) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রতি ৩ (তিন) মাস অন্তর ফরম-১৭ অনুযায়ী অভিযোগ গ্রহণ, নিষ্পত্তি ও অপেক্ষমান সংক্রান্ত প্রতিবেদন পরবর্তী মাসের ১০ (দশ) তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দাখিলকরিবেন।
(২) উপ-বিধি (১) অনুযায়ী প্রাপ্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনাক্রমে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামলার নিষ্পত্তির পর্যাপ্ততা নিরূপণ করিবেন এবং নিষ্পত্তি অপর্যাপ্ত হইলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করিবার নির্দেশনা প্রদান করিবেন।
(৩) উপ-বিধি (১) অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ হইতে প্রাপ্ত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন সমন্বিত করিয়া সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার একই মাসের বিশ (২০) তারিখের মধ্যে উপ-পরিচালক, উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগ (ডিডিএলজি) বরাবর ফরম-১৮ অনুযায়ী ১ (এক) টি ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করিয়া প্রেরণ করিবেন।
(৪) উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগ সংশ্লিষ্ট জেলার সকল উপজেলা হইতে প্রাপ্ত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন সমন্বিত করিয়া ফরম-১৯ অনুযায়ী একই মাসের ৩০ (ত্রিশ) তারিখের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বরাবর প্রেরণ করিবেন এবং সার্বিক অবগতির জন্য উক্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি জেলা প্রশাসক এবং জেলা জজ বরাবরে প্রেরণ করিবেন।
২৮। রেজিস্টারের বিষয়সমূহের ক্রমিক নং। (১) আবেদনপত্র গ্রহণ এবং ডিক্রী বা আদেশ প্রদানের ক্রমানুসারে মামলার রেজিস্টারের এবং ডিক্রী ও আদেশের রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ বিষয়সমূহের ক্রমিক নং এর সাথে বৎসরের উল্লেখ থাকিবে।(২) প্রত্যেক বৎসরে নূতন করিয়া ক্রমিক নং প্রদান শুরু করিতে হইবে।
২৯। রেজিস্টার ও নথিপত্র সংরক্ষণ(১) গ্রাম আদালতের সকল নথিপত্র এবং রেজিস্টার ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে সংরক্ষিত হইবে।
(২) রেজিস্টারসমূহ ১০ (দশ) বৎসর ও অন্যান্য নথিপত্র ৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকিবে।
৩০। গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান অপসারণ, ইত্যাদি- (১) গ্রাম আদালত রায় প্রদান করিবার পূর্বে যে কোন সময়ে আইনের ধারা ৫ এর উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত কোন কারণে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা প্যানেল চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করিতে অসমর্থ হইলে অথবা তাহার নিরপেক্ষতা সম্পর্কে কোন পক্ষ কর্তৃক আপত্তি উত্থাপিত হইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত বিষয়ে কোন পক্ষের লিখিত আবেদন প্রাপ্তির পর তাহার বিবেচনায় আবেদনে বর্ণিত বিষয় যথার্থ বলিয়া প্রতীয়মান হইলে ইউনিয়ন পরিষদের যে কোন সদস্যকে (বিবাদের কোন পক্ষের মনোনীত সদস্য নহেন) চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করিবার জন্য নিয়োগ প্রদান করিবেন।
(২) উপ-বিধি (১) অনুযায়ী গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সংশ্লিষ্ট মামলার ক্ষেত্রে গ্রাম আদালতের কার্যধারা ৭ (সাত) দিন পর্যন্ত স্থগিত রাখিতে পারিবেন।
(৩) উপ-বিধি (১) অনুযায়ী নিযুক্ত চেয়ারম্যানের নাম ফরম-২ এ মামলা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
৩১। দাবী বা বিবাদ স্বীকার।(১) সমনপ্রাপ্ত হইয়া অথবা অন্য কোন ভাবে অবহিত হইয়া
প্রতিবাদী ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হইয়া দাবী বা বিবাদ স্বীকার করিলে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে উক্ত দাবী পূরণ করিলে গ্রাম আদালত গঠন করা হইবে না।
(২) উপ-বিধি (১) অনুযায়ী প্রতিবাদী কর্তৃক দাবী বা বিবাদ স্বীকার করা হইলে এবং উক্ত দাবী পূরণ করা হইলে এই বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ প্রয়োজনীয় রেকর্ড সংরক্ষণ করিবেন এবং ফরম-১৩ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অর্থ লেনদেন রেজিস্টারে উহা লিপিবদ্ধ করিবেন।
৩২। সিদ্ধান্ত পুনর্বিচারের জন্য ফেরত পাঠানো- (১) কোন মামলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আইনের ধারা ৮ এর উপÑধারা (২) অনুযায়ী জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালত বা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা সহকারী জজ আদালত বা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত এর নিকট আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালত বা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা সহকারী জজ আদালত বা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত কর্তৃক উক্ত মামলাটি
পুনর্বিবেচনার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হইলে মামলাটি একই নম্বরে প্রতিস্থাপিত করিয়া অবিলম্বে উহার বিচার শুরু করিতে হইবে।
(২) উপ-বিধি (১) অনুযায়ী আপীল আদালতের আদেশের সারাংশ ফরম-২ অনুযায়ী মামলার রেজিস্টারের ১২ নম্বর কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
৩৩। বিচারাধীন মামলা উচ্চ আদালত হইতে গ্রাম আদালতে প্রেরণ- (১) মামলার অভিযোগ শুনানীর সময় কোন আদালতের নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে মামলাটি গ্রাম আদালতে বিচার্য তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট আদালত মামলাটি গ্রাম আদালতে প্রেরণ করিতে পারিবেন। বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬ ১৪৩৭
(২) উপ-বিধি (১) অনুযায়ী মামলা গ্রাম আদালতে প্রেরণ করিবার সময় উক্ত মামলায় কোন সমন জারী থাকিলে তাহা প্রত্যাহার করিবেন এবং মামলাটি গ্রাম আদালতে প্রেরিত হইয়াছে মর্মে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করিবেন। (৩) উপ-বিধি (২) এর আওতায় কোন মামলা গ্রাম আদালতে বিচারের জন্য প্রেরণ করা হইলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ মামলার আবেদনকারীর নিকট হইতে কোন প্রকার ফি গ্রহণ করিবেন না।
৩৪। জরিমানা ও ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ের পদ্ধতি-(১) আইনের ধারা ৯ এর উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী গ্রাম আদালতের মামলা ডিক্রি অথবা সিদ্ধান্তমূলে আদায়যোগ্য অর্থ ইউনিয়ন পরিষদেও বকেয়া কর আদায়ের পদ্ধতিতে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর অধীনে আদায়যোগ্য হইবে।
(২) উপ-বিধি (১) অনুযায়ী অনুরোধপত্র প্রাপ্ত হইলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৬৮ এর বিধান অনুযায়ী অনুরোধপত্রে উল্লিখিত অর্থ আদায় করিবেন এবং অনুরোধপত্র গ্রহণের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আদায়কৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট গ্রাম আদালতে প্রেরণ করিবেন।
(৩) উপ-বিধি (২) অনুযায়ী প্রেরিত অর্থ উহা গ্রহণের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে প্রদান করিবেন।
(৪) উপ-বিধি (২) অনুযায়ী প্রাপ্ত অর্থ ফরম-১৩ তে রক্ষিত গ্রাম আদালতের ক্ষতিপূরণের অর্থ লেনদেন রেজিস্টারে জমা করিতে হইবে এবং ৭ (সাত) দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের অর্থ উল্লিখিত রেজিস্ট্রারের নির্ধারিত কলামে স্বাক্ষীর সম্মুখে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের ও স্বাক্ষীর স্বাক্ষর গ্রহণপূর্বক ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে প্রদান করিতে হইবে।
(৫) উপ-বিধি (২) অনুযায়ী অনুরোধপত্র পাওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যদি ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্ত অর্থ আদায় করিতে অসমর্থ হন তাহা হইলে ব্যর্থতার কারণ উল্লেখ করিয়া তিনি উক্ত অর্থ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৬৮ এর উপ-ধারা (২) অনুসারে সরকারি দাবী হিসাবে আদায়ের জন্য সার্টিফিকেট অফিসার (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) বা সার্টিফিকেট অফিসার হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট ফরম-২০ অনুযায়ী দাবী পেশ করিবেন।
(৬) উপ-বিধি (২) অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদায়কৃত অর্থ গ্রাম আদালতের অর্থ লেনদেন রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করিয়া মামলার আবেদনকারীকে তাৎক্ষণিক ভাবে প্রদান করিবেন।
(৭) আবেদনকারী বা তাহার মনোনীত প্রতিনিধির পক্ষে যদি ক্ষতিপূরণের অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ করা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান তাহা ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে জমা করিয়া আবেদনকারীকে অবহিত করিবেন।
(৮) এইরূপে অবহিত হইবার পর আবেদনকারী বা তাহার মনোনীত প্রতিনিধি ইউনিয়ন পরিষদে সশরীরে উপস্থিত হইয়া ক্ষতিপূরণের অর্থ গ্রহণ করিবেন।
(৯) জরিমানার অর্থ প্রাপ্ত হইলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহা ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে জমা করিবেন।
১৪৩৮ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
৩৫। মিথ্যা মামলা দায়েরের জরিমানা- (১) আইনের ধারা ৯ক অনুসারে কোন প্রকার শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী হয়রানি বা ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে প্রতিবাদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করিয়াছেন কিনা তাহা আদালতের নিকট সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হইতে হইবে।
(২) এক্ষেত্রে ন্যায্য ও যুক্তিসংগত কারণ না থাকা সত্ত্বের আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনপূর্বক প্রতিবাদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করিয়াছেন তাহা নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে আবেদনকারীর অভিযোগ খারিজ করিয়া তাহার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের জন্য জরিমানা আরোপ করা যাইবে।
(৩) উপ-বিধি (২) অনুযায়ী দায়েরকৃত মামলার যথার্থতা প্রমাণ করিতে ব্যর্থ হইলে মামলা খারিজ বলিয়া গণ্য হইবে।
৩৬। ফৌজদারী আদালতে মামলা প্রেরণ- গ্রাম আদালত যদি মনে করেন যে গ্রাম আদালতে বিচারাধীন কোন ফৌজদারী মামলার প্রতিবাদীর অপরাধ গুরুতর এবং সুবিচারের উদ্দেশ্যে উক্ত ব্যক্তির শাস্তি হওয়া উচিত, তাহা হইলে গ্রাম আদালত উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে ফরম-২১ অনুযায়ী মামলাটি এখতিয়ারসম্পনড়ব প্রম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করিবেন।
৩৭। গ্রাম আদালতের ফরম ও ফরমেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দেশনা। এই বিধিমালায় বর্ণিত ফরম ও ফরমেটসমূহ ছাপানো বা মুদ্রিত আকারে অথবা হুবহু অনুসরণক্রমে সাদা কাগজে রেজিস্টার আকারে ব্যবহার করা যাইবে।
৩৮। গ্রাম আদালতের সীলমোহর, ইত্যাদি। (১) প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে গ্রাম আদালতের একটি সীলমোহর রাখিতে হইবে যাহা গোলাকার এবং উহা “গ্রাম আদালত” ও ""............ইউনিয়ন পরিষদ'' এর নামাঙ্কিত হইতে হইবে।
(২) এই বিধিমালা অনুযায়ী প্রদত্ত সকল আদেশ, ডিক্রী, নকল এবং অন্যান্য দলিলপত্রে গ্রাম আদালতের সীলমোহর ব্যবহার করিতে হইবে। বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬ ১৪৩৯